আঞ্চলিক সমবায় ইনস্টিটিউট ও জেলা সমবায় কার্যালয়, মৌলভীবাজার এ কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস এর এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সমবায় ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস। আঞ্চলিক সমবায় ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ-উপ নিবন্ধক মোহাম্মদ দুলাল মিঞা এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট বিভাগীয় সমবায় দপ্তর এর যুগ্ম নিবন্ধক মৃনাল কান্তি বিশ্বাস, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, রাসেদুজ্জামান, উপ নিবন্ধক (ফাইন্যান্স), সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকা ও জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন তালুকদার, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জ বশির আহমেদ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা, হবিগঞ্জ তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের জেলা ও উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস বলেন, সমবায় মানুষের জন্য কাজ করে। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে সমবায় জয়গান হতো। গ্রামের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সমবায়ের বিকল্প নেই। সারাদেশে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০টি গ্রামকে সমবায় পদ্ধতি প্রয়োগ করে বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে মডেল ও আদর্শ গ্রাম করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কোন কৃষি জমি নষ্ট করে বাসস্থান করা যাবে না। অকার্যকর ও অপ্রয়োজনীয় সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতির মাধ্যমে টেকসই পর্যটনকে ধারণ ও রক্ষা করতে হবে এবং ৩৫ ক্যাটাগরির সমবায় সমিতি যথাযথ পর্যবেক্ষণ করে নিবন্ধন প্রদান করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমবায় বিভাগ, সিলেট এর পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে একটি ফলদ ও একটি বনজ গাছের চারা রোপন করেন।